কোম্পানীগঞ্জে মির্জা কাদের ও বাদল গ্রুপের সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত অর্ধশত
কোম্পানীগঞ্জে মির্জা কাদের ও বাদল গ্রুপের সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত অর্ধশত
নোয়াখালী সংবাদদাতা:
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাপরাশিরহাট বাজারে আ'লীগের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক সংবাদকর্মীসহ উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জ, ফাঁকা গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করেছে।
শুক্রবার(১৯ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে পৌনে ৫টার দিকে উপজেলার চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারে আ'লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন-চরফকিরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান, রুহুল আমিন, মেহরাব, বাপ্পী, কামাল পাটোয়ারী, শাওন, শামীম, দেলোয়ার হোসেন, মাস্টার, নসু, কামরুল হাসান, নুরুল অমিত, মাসুদ, কাঞ্চন, রায়হান, দেলোয়া, বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির’সহ ৫০জন।
এদের মধ্যে সংবাদকর্মী বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির, নুরুল অমিত, ফরহাদ ও কাঞ্চন গুলিবিদ্ধ হয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা আ'লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল বিকেল সাড়ে ৪টায় তার সমর্থকদের চাপরাশিরহাট দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হতে বলে। কিন্তু তার আগে আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী চরফকিরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন লিটনের নেতৃত্বে তার সমর্থকরা ওই কার্যালয়ে এসে উপস্থিত হয়।
নির্ধারিত সময়ে বাদলের সমর্থকরা দলীয় কার্যালয়ে আসলে লিটনের সমর্থকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বার্তা বাজার পত্রিকার প্রতিনিধি বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির।
এদিকে, সংঘর্ষের পর নিজের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে নিজের দলের নেতাকর্মীদের ওপর চাপরাশিরহাট বাজারে হামলা হয়েছে বলে দাবি করেছেন মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। তিনি জানান, হামলায় তার অন্তত ৫০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
তার কোনো নেতাকর্মী মারা গেলে তার দায়-দায়িত্ব সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন, সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী, নিজাম হাজারী ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে নিতে হবে বলে জানান তিনি।এসময় পুলিশের সহযোগিতায় তার নেতাকর্মীদের ওপর গুলি করা হয়েছে বলেও দাবি করেন মির্জা।
সংঘর্ষের বিষয়ে কথা বলতে মিজানুর রহমান বাদলকে একাধিকবার কল করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) রবিউল হক জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১০ থেকে ১২ রাউন্ড টিয়াসেল নিক্ষেপ করা হয়েছে।