সোনাগাজীর দক্ষিণ চর খন্দকারের অসহায় ভূমি মালিকদের সম্পত্তি ফিরে পাওয়ার আর্তনাদ
সোনাগাজীর দক্ষিণ চর খন্দকারের অসহায় ভূমি মালিকদের সম্পত্তি ফিরে পাওয়ার আর্তনাদ
নিজস্ব সংবাদদাতা:
সোনাগাজী উপজেলার দক্ষিণ চর খন্দকার মৌজায় বনবিভাগ কর্তৃক নিরীহ মানুষের মালিকীয় সম্পত্তি দখলের প্রায়তারার বিরুদ্ধে শনিবার(২০ ফেব্রুয়ারী) সকালে ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, সোনাগাজীর দক্ষিণ চর খন্দকার মৌজায় বন বিভাগ কর্তৃক সম্পত্তি দখলের পায়তারা করছেন বলে উল্লেখ করেন আবুল কালাম আজাদ চৌধুরী। তিনি বলেন চর খন্দকার মৌজার দিয়ারা ৩১৫ ও ৩১৮নং খতিয়ানের ১৬৬৯ শতাংশ ভূমিতে ছাপ কবলা মূলে তাদের নামে বি.এস ২৩২নং খতিয়ান প্রস্তুত ও প্রচারিত হয়েছে।
এছাড়াও মজিবুর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান, ফয়েজুর রহমান ভূঞা, ফিরোজা আক্তারগণ মধ্যে মজিবুর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান এবং ফয়েজুর রহমান ভূঞা চর খন্দকার মৌজার দিয়ারা ৩২১নং খতিয়ানের ৬০০ শতাংশ জায়গা মালিক ও দখলকার এবং নামজারী জমাখারিজ ৫৫৩নং খতিয়ান প্রস্তুত ও প্রচারিত হয়েছে।
একইভাবে ৩৫০ শতাংশ ও ছাপ কবলা মূলে ৭৭১.৫০ শতাংশ জায়গা মালিক এবং নামজারী জমাখারিজ হয়েছে। মো: মহসীন দক্ষিণ চর খন্দকার মৌজায় ১ হাজার শতাংশ জায়গা খরিদসূত্রে ও ওয়ারিশসূত্রে মালিক ও দখলদার রয়েছেন। এছাড়াও মাঈন উদ্দিন, নিজাম উদ্দিন, শাহানা আক্তার, জোৎসনারা বেগম, আছমা আক্তার, পেয়ারা আক্তার, তাহেরা বেগম ও রেজিয়া বেগম দক্ষিন চর খন্দকার মৌজার দিয়ারা জরিপী ২৬১নং খতিয়ানের ১১৮৩ দাগের ৮৩০ শতাংশ জায়গা আমাদের মৌরশ মৃত ফয়েজ আহম্মদের ওয়ারিশ স্বরূপে মালিক ও দখলকার এবং ৪৫৮নং খতিয়ান প্রস্তুত ও প্রচারিত হয়েছে।
এদিকে দক্ষিণ চর খন্দকার মৌজার দিয়ারা জরিপের ভলিউম অধিদপ্তরে খোঁজাখুঁজি করে সরকারী বন বিভাগের নামে কোন খতিয়ান পাওয়া যায়নি। জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের রেকর্ডরুম শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার উম্মে তাহমিনা স্বাক্ষরিত চার্চিং প্রাপ্তে সুস্পষ্টভাবে রয়েছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে আবুল কালাম আজাদ চৌধুরী, কামরুল হোসেন মো: টিপু মিয়া, মো: মহসিন, আমিনুল ইসলাম মুকিত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে তারা আরো বলেন, বন বিভাগের কিছু সংখ্যক অতি উৎসাহী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিরঙ্কুশ মালিকীয় ও দখলীয় জায়গায় তাদের বৈধ প্রবেশাধিকার বেআইনীভাবে বাধাগ্রস্থ করে আসছে। দক্ষিণ চর খন্দকার মৌজার জায়গার মালিকদের মধ্যে মো: সাইফুল ইসলাম, মো: টিপু মিয়া ও মো: আলা উদ্দিনের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করে হয়রানী করছে বলেও অভিযোগ করেন।
তাদের মালিকীয় জায়গায় সাইবোর্ড লাগানোর পর চর আবদুল্লাহ বিটের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ তাদের সাইবোর্ডটি ফেলে দেয়। বন বিভাগ যেন অদৃশ্য কোন শক্তির ইশারায় একের পর এক বেআইনী ও ভয়ংকর ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো আরো বলেন, তারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু বন বিভাগ বেআইনীভাবে তাদের জায়গা দখলের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। অসহায় ভূমি মালিকরা তাদের জায়গা ফিরে পেতে ভূমি মন্ত্রী, ভূমি সচিব, জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।