কোম্পানীগঞ্জ সংবাদদাতা:
আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা উপজেলা আ'লীগের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।
বুধবার(৩০ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টায় তার ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে এ পদত্যাগের ঘোষণা দেন। দল ছাড়লেও বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সঙ্গে কাজ করার কথা জানান তিনি।
এদিকে কাদের মির্জার দল ছাড়ার ঘোষণায় তার গন্তব্য নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। তিনি অন্যকোন রাজনৈতিক দলে যোগ দিচ্ছেন নাকি রাজনীতি থেকেই সরে দাঁড়াবেন? পৌর নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী কাদের মির্জার সমর্থকরাও এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন। বিশেষ করে অন্যন্য রাজনৈতিক দল নিয়ে সম্প্রতি তিনি যে বার্তা দিয়ে আসছিলেন তাতে অনেকে মনে করেন কাদের মির্জার অন্য কোন গন্তব্যও থাকতে পারে।
পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে ফেসবুকে ১ ঘণ্টা ১২ মিনিটের বক্তব্যে কাদের মির্জা বলেন, আমি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ'লীগের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করলাম।
এখন থেকে আমি আর আ'লীগের কোনো পদে নেই।
কাদের মির্জা দীর্ঘ ৪৭ বছর রাজনৈতিক জীবনে ছাত্রলীগ, যুবলীগ হয়ে ২৭ বছর আ' লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ'লীগের ২ নং সদস্য ছিলেন। পদত্যাগের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে তার দীর্ঘ ৪৭ বছরের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটলো। কাদের মির্জা বলেন, আমি বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ গঠন করেছি।
এ সংগঠনের সঙ্গে কাজ করবো। মানবতার কাজ করবো। মানুষের সুখ-দুঃখের সাথী হবো। অন্যায়, অবিচার ও জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবো। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করবো, শেখ হাসিনার উন্নয়নের রাজনীতি করবো। বিদায়ের মুহূর্তে আমার নেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অনুরোধ করবো যারা অপরাজনীতির সঙ্গে জড়িত তাদের লাগাম টেনে ধরুন।
তিনি আরো বলেন,আমার বিরুদ্ধে যে অত্যাচার, জুলুম ও ক্ষমতার তাণ্ডব চলছে, প্রশাসনের তাণ্ডব চলছে, অর্থের রমরমা খেলা চলছে, বসুরহাট বাজারে যে অস্ত্রের ঝনঝনানি চলছে- এ অবস্থায় আমি চুপ করে বসে থাকতে পারি না। আমি নামাজের বিছানায় বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যতদিন বেঁচে থাকবো, আমি অন্যায়, অবিচার আর অনিয়মের বিরুদ্ধে, অপরাজনীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবো, সাহস করে সত্য কথা বলবো।
ওবায়দুল কাদেরের মন্ত্রণালয়ে তার স্ত্রী ইশরাতুন্নেছা কাদেরসহ অন্যরা যে দুর্নীতি করছে তা আমি লিখিতভাবে সকল তথ্য প্রমাণসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর পাঠাবো। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। এ ব্যাপারে আমি আমার সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করবো, ঢাকায় গিয়ে সব কথা বলবো। আমি সব অনিয়মকারীর বিরুদ্ধে কথা বলে এখন সবার কাছে খারাপ হয়ে গেছি। যে দলের সম্মান নাই, সেখানে আমি থাকবো না।