সংলাপ কার সঙ্গে করব, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর




১৩ মার্চ ২০২৩ ইং

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ না করার ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কার সঙ্গে সংলাপ করবেন, সে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেছেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে সংলাপ করেছিলেন। কিন্তু তার ফল নির্বাচনটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা ছাড়া আর কিছুই হয়নি। কাতার সফর নিয়ে আজ সোমবার বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীকে সময় টেলিভিশনের সহযোগী বিশেষ প্রতিনিধি দেবাশীষ রায় প্রশ্ন করেন, ‘মাঠে এখনো বলা হচ্ছে আপনি আবারও সংলাপ করবেন। হয়তোবা রাজনৈতিক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে বসবেন। আপনার জোট নিয়ে যে পরিকল্পনা বা আওয়ামী লীগ আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, সেগুলো নিয়ে কোনো ধারণা দেবেন কি না?’ জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সংলাপ কার সঙ্গে করব? হ্যাঁ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে আমি সংলাপ করেছি। তার ফল কী? নির্বাচনটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা ছাড়া আর কিছুই করেনি। ৩০০ আসনে ৭০০ মনোনয়ন দিয়ে টাকা খেয়ে নিজেরাই নিজেদের নির্বাচন থেকে সরিয়ে, তারপর নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।’ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাছবি: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় শেখ হাসিনা বলেন, ‘আল্লাহ আমাকে ধৈর্য দিয়েছেন, সহ্যশক্তি দিয়েছেন। নইলে ১৫ আগস্ট আমার মা–বাবার হত্যাকারী, গ্রেনেড হামলা করে আইভি রহমানসহ আমাকে হত্যার চেষ্টা, বোমা মেরে হত্যার চেষ্টা যারা করেছে, আমি তাদের সঙ্গেও বসেছি শুধু দেশের স্বার্থে। শুধু তা–ই না, খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে মারা গেল। আমি গেলাম একজন সন্তানহারা মাকে সহানুভূতি জানাতে। আমাকে কীভাবে অপমানটা করল। এত অপমানের পরও তাদের সঙ্গে আবার কিসের বৈঠক? প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেউ পারবেন আপনার মা–বাবার হত্যাকারীর সঙ্গে বসে বৈঠক করতে? আপনাকে কেউ যদি এভাবে অপমান করে, আপনারা পারবেন? কে পারবে? যেটুকু সহ্য করেছি শুধু দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে, নিজের স্বার্থে নয়। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসায় থাকা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারপরও তো অসুস্থ বয়োবৃদ্ধ…। তাঁর বোন এসে, ভাই এসে, বোনের জামাই—সবাই এসে যখন আমার কাছে আর রেহানার কাছে এসে আকুতি করল…। হ্যাঁ, তাঁর সাজা স্থগিত করে বাসায় থাকা এবং চিকিৎসার সুযোগটা করে দিয়েছি। এটুকু যে করেছি, সেটাই যথেষ্ট। যারা বারবার আমাদের হত্যা করে, অপমান করে…। সারা দেশে কাকে না অপমান করেছে। তারপরও যে এটুকু সহানুভূতি পাচ্ছে, সেটা শুধু আমার কারণে। নইলে এদের সঙ্গে কিসের বৈঠক, কিসের কী? আর কী ক্ষমতা তাদের আছে, সন্ত্রাস করা ছাড়া তো আর কোনো ক্ষমতা নেই।’