বিএনপি ঢাকার নয়াপল্টনে তাদের কার্যালয়ের সামনে অথবা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই সমাবেশ করতে চায়। প্রয়োজনে তারা সমাবেশ এক দিন পিছিয়ে দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে সমাবেশের নতুন তারিখ হতে পারে আগামী শুক্রবার। বিএনপির পক্ষ থেকে আজ বুধবার পুলিশকে মৌখিকভাবে এটি জানানো হয়েছে বলে দলটির সূত্র জানিয়েছে। বিএনপির একজন কেন্দ্রীয় নেতা আজ রাত পৌনে আটটায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘পুলিশকে আমরা মৌখিকভাবে সমাবেশের দিন পরিবর্তনের কথা বলেছি। তবে তার জবাব এখনো পাইনি।’ অন্যদিকে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক আজ সন্ধ্যায় শুরু হয়েছে। বৈঠকে সমাবেশের তারিখ ও জায়গা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বলে জানা গেছে। বিএনপি ২২ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তারুণ্যের সমাবেশ করে। সেখানেই ২৭ জুলাইয়ের মহাসমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয়।
দলটি গত সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশকে (ডিএমপি) চিঠি দিয়ে ঢাকার নয়াপল্টন বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার আগ্রহের কথা জানায়। তারা সমাবেশ থেকে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি মানার জন্য বর্তমান সরকারকে একটা সময়সীমা বেঁধে দিতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে। তবে সমাবেশের স্থান নিয়ে পুলিশের অনুমতি পায়নি বিএনপি। বরং পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের ঢাকার সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের পাশে গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক আজ বিকেল পৌনে চারটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ‘জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে আমরা বিএনপিকে গোলাপবাগে সমাবেশ করার পরামর্শ দিয়েছি।’ পুলিশ বিএনপিকে গোলাপবাগে সমাবেশের পরামর্শ দেওয়ার পর যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের তারুণ্যের জয়যাত্রা সমাবেশের জন্য দুই বিকল্প জায়গার কথা বলেছে। জায়গা দুটি হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়াম মাঠ অথবা মহানগর নাট্যমঞ্চ।
বিএনপি সূত্র জানায়, পুলিশ যেহেতু জনদুর্ভোগের কথা বলছে, সেহেতু তারা শুক্রবার বন্ধের দিন সমাবেশ করতে চায়। তবে তারা গোলাপবাগে সমাবেশ করবে না। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, গোলাপবাগ মাঠটির আয়তন ৪ দশমিক ৫২ একর। এটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের তুলনায় অনেক ছোট। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আয়তন প্রায় ৬৮ একর। কোথায় কবে সমাবেশ হবে, তা আজ রাতেই বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলন করে জানাবেন বলে কথা রয়েছে।